NID Card Re-Issue Online 2024

NID Card Re-Issue Online 2024 – জাতীয় পরিচয় পত্র রি-ইস্যু আবেদন 

NID Card হারিয়ে গেছে ? জাতীয় পরিচয় পত্র রি-ইস্যু আবেদন করতে হবে ? তবে জানা নেই কিভাবে Re-Issue আবেদন করবেন ? আজকের পোস্টে কিভাবে NID Card Re-Issue আবেদন করবেন তা বিস্তারিত জন্য। 

বর্তমানে অনলাইনে খুব সহজেই NID Card রি-ইস্যু করে ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। NID Re-Issue Fee এবং থানায় একটি জিডি করে হারিয়ে যাওয়া জাতীয় পরিচয় পত্র পুনরায় ডাউনলোড করতে পারবেন। 

NID Card হারিয়ে গেলে বর্তমানে সবাই অনলাইনে হেকে কার্ড আবার ডাউনলোড করি নিতে পারেন। তবে আপনি যদি পুরাতন ভোটার হয়ে থাকেন তবে NID Card Re-Issue আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি একটি জিডিও করতে হবে। 

জিডিতে আপনার আইডি কার্ডটি কোথায় এবং কিভাবে হারিয়ে তা উল্লেখ করতে হবে। জিডি লেখার সঠিক নিয়ম জানা থাকলে সহজেই NID Card রি-ইস্যু আবেদনের জন্য জিডি লিখে ফেলতে পারেন। 

আজকের পোস্টে আমরা জন্য কিভাবে অনলাইনে NID Card Re-Issue আবেদন করবেন এবং কিভাবে এর জন্য জিডি লিখবেন। আরো জন্য কিভাবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন। 

NID Card হারিয়ে গেলে করণীয় 

NID Card হারিয়ে গেলে প্রথমেই যেই এলাকায় আইডি কার্ডটি হারিয়েছে সেখানকার থানায় এই বিষয়ে একটি সাধারণ ডাইরে অর্থাৎ জিডি করা। জিডিতে আইডি কার্ডটি কোথায়, কিভাবে এবং কখন হারিয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে। 

NID Card চুরি হয়ে থাকলেও একইভাবে থানায় জিডি করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড হারানো বা চুরি হয় নিয়ে জিডি করার পর জিডিটি ফটো কপি করে নিতে হবে। একটি কপি থানায় জমা দিতে হবে এবং আরেকটি কপি আবেদনকারীর কাছে থাকবে। 

জিডি করার সময় জিডি সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তথ্য গুলো হলো –

  • GD নাম্বার 
  • যেই পুলিশ কর্মকর্তা GD সংগ্রহ করেছেন তার নাম 
  • পুলিশ কর্মকর্তার পদবি 
  • GD করার তারিখ 
  • জড়িত থানার সিল এবং সাক্ষর 

আপনি চাইলে নিজের মতো করে জিডি লিখে নিতে পারেন। অথবা আমাদের দেওয়া জিডিটিতে আপনার তথ্য বসিয়ে জমা দিতে পারেন। কিভাবে জিডি লিখবেন নিম্নে বিস্তারিত দেওয়া হলো –

NID Card Re-Issue – হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড 

অনলাইনে হারানো আইডি কার্ড ডাউনলোড করা খুবই সহজ। এজন্য প্রথমে আপনাকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ( services.nidw.gov.bd ) ভিজিট করতে হবে। এখানে আবেদনকারীর NID Card নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে। এরপর সিকিউরিটি ক্যাপচা পূরণ করে একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। 

পূর্বে থেকে একাউন্ট রেজিস্টার করা থাকলে লগইন করে নিতে হবে। লগইন করার পর একাউন্ট ড্যাশবোর্ড পেয়ে যাবেন। এখান থেকে রি-ইস্যু অপসন অপশনে যেতে হবে। Card Re-Issue ধরণ, জিডি নাম্বার, Re-Issue Fee এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে। 

আবেদনটি অনুমোদন হলে আপনার হারানো NID Card টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। অনলাইনে থেকে NID Card Re-Issue আবেদন, জিডি লেখা এবং আইডি কার্ড ডাউনলোড করার প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল। এজন্য বোঝার সুবিধার্তে পুরো প্রক্রিয়াটি নিম্নে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হবে। প্রথমেই দেখবো কিভাবে হারানো ভোটার আইডি কার্ডের জন্য থানায় জিডি লিখবেন।  

হারানো ভোটার আইডির জিডি লিখার নিয়ম

আইডি কার্ড হারানো নিয়ে জিডি যেই এলাকায় কার্ডটি হারিয়েছে সেই এলাকায় করতে হয়। জিডিতে আবেদনকারীর নাম, বয়স, পিতা-মাতার নাম এবং ঠিকানা প্রদান করতে হবে। 

আরও পড়ুন  পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম 2024

একই সাথে হারানো NID Card নাম্বার এবং কোথায় হারিয়েছে তা দিতে হবে। কার্ডটি কবে এবং কোথায় হারিয়েছে তাও বর্ণনা করতে হবে। জিডিতে আবেদনকারীর সাক্ষর, মোবাইল নাম্বার এবং জিডির তারিখ উল্লেখ করে দিতে হবে। 

জিডি লেখা অনেকের কাছেই ঝামেলা পূর্ণ মঈন হতে পারে। এই ঝামেলা করতে না চাইলে আমাদের দেওয়া জিডিটি ডাউনলোড করে আবেদনকারীর তথ্য যোগ করে জমা দিয়ে দিতে পারেন। 

জিডিটির নমুনা নিম্ন রূপ – 

জিডিটির স্ক্যানড কপি এর সাইজ অবশ্যই 100 kB এর মধ্যে হতে হবে। জিডিটি স্ক্যান করে সংগ্রহ করে রাখতে হবে।  করতে না পারলে png আকারে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। 

জিডি করা হয়ে গেলে এবার অনলাইন NID Card Re-Issue আবেদন করতে হবে। এজন্য প্রথমেই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।   

NID card reissue online

অনলাইনে NID Card Re-Issue আবেদন করার জন্য প্রথমেই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ( services.nidw.gov.bd )  একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে।

ওয়েবসাইটে একাউন্ট রেজিস্টার করা জটিল মনে হতে পারে। এজন্য বোঝার সুবিধার্তে নিম্নে পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো।  ধাপ গুলো হলো –

  • ধাপ ১ :- Nidw এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 
  • ধাপ ২ :- একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন 
  • ধাপ ৩ :- ঠিকানা প্রদান
  • ধাপ ৪: মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন
  • ধাপ ৫ – NID Wallet Application Download 
  • ধাপ ৬ :- QR Code Scan 
  • ধাপ ৭ :- Face Verification  
  • ধাপ ৮ :- পাসওয়ার্ড সেট করা

ধাপ গুলোর বর্ণনা নিম্ন রূপ –

ধাপ ১ :- Nidw এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। 

Services nidw gov bd
Services nidw gov bd

জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ NID Card Re-Issue করার জন্য প্রথমে ভিজিট করুন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ( services.nidw.gov.bd )। ভোটার নিবন্ধনের সকল তথ্য এই ওয়েবসাইটের ডাটাবেজে সংরক্ষিত আছে। 

ধাপ ২ :- একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন 

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ( services.nidw.gov.bd ) ভিজিটের পরে একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। এজন্য প্রথমেই “রেজিস্টার একাউন্ট” বাটনে ক্লিক করুন। 

এরপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ বসিয়ে দেওয়া ফর্মটি পূরণ করুন। 

Services Nidw Gov BD এ অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
Services Nidw Gov BD এ অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন

যদি নতুন নিবন্ধন হয়ে থাকেন এবং আইডি কার্ড হাতে না থাকে বা জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID )  কার্ড নাম্বার জানা না থাকে এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড নাম্বার এর পরিবর্তে নিবন্ধনের সময় পাওয়া  স্লিপ নাম্বারটি ব্যবহার করুন। 

মনে রাখবেন ৮ বা ৯ সংখ্যার ভোটার স্লিপ নাম্বারে NIDFN যোগ করা না থাকলে অবশ্যই ভোটার স্লিপের পূর্বে NIDFN  যোগ করে নেবেন।  উদাহরণ :-  ভোটার স্লিপ নাম্বার  234675438 হয়ে থাকে তবে NIDFN  যোগ করে নাম্বারটি হবে NIDFN234675438।

তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রদান করে ফর্মটি পূরণ করা শেষ হলে সিকিউরিটি ক্যাপচা সম্পূর্ণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।  আগে থেকে একাউন্ট রেজিস্টার করা থাকলে শুধু জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার অথবা একাউন্ট নেইম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।

ধাপ ৩ :- ঠিকানা প্রদান

আপনার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রদান করে ফর্ম পূরণ সম্পূর্ণ হলে আপনার বর্তমান এবং অস্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে।  

ঠিকানা প্রদান
ঠিকানা প্রদান

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ( NID ) কার্ডে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করুন। ঠিকানায় জেলা, উপজেলা  এবং বিভাগ বসাতে হবে।  ঠিকানা প্রদান করে ফর্ম পূরণ করা সম্পূর্ণ হলে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪: মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

আপনার সঠিক ঠিকানা প্রদান করার পরেই মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করার প্রয়োজন হবে।  মোবাইল নাম্বার দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি সচল নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। পরবর্তীতে এই নাম্বারের সাহায্যে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে। 

মোবাইল নাম্বার যাচাই
মোবাইল নাম্বার যাচাই

এক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে ভোটার নিবন্ধনের সময় ব্যবহূত মোবাইল নম্বরটি আসবে।  তবে মোবাইল নাম্বার না আসলে নতুন একটি সচল মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে ফর্মটি পূরণ করুন।

মোবাইল নাম্বার বসানো হলে ভেরিফাই করার জন্য বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করলে ব্যবহৃত নাম্বারে বাংলাদেশ এনআইডি সার্ভিস থেকে ছয়টি ডিজিটের একটি  ওটিপি কোড পাঠানো হবে।  এই OTP ব্যবহার করে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে।

আরও পড়ুন  How To Download NID Card 2024 - ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন

ধাপ ৫ – NID Wallet Application Download 

এ পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার NID Wallet নামক একটি এপ্লিকেশন প্রয়োজন হবে

বর্তমানে Android এবং IOS  উভয় অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারিই NID Wallet  অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারে। Android ব্যবহারকারীরা Google Play Store  থেকে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

এবং IOS ব্যবহারকারীরা  Apple Store থেকে NID Wallet অ্যাপ্লিকেশনটি  ডাউনলোড করে দিতে পারেন। 

NID Wallet Download
NID Wallet Download

Android  অপারেটিং সিস্টেমে NID Wallet  অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে Play Store  ওপেন করে সার্চ বাড়ে “ NID Wallet ”  সার্চ করুন। সবার প্রথমে আসা ফলাফলটি ডাউনলোড করে নিন। 

NID Wallet Play Store
NID Wallet Play Store

একই প্রক্রিয়ায় IOS  ব্যবহারকারীরাও NID Wallet অ্যাপ্লিকেশনটি Apple Store  থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। অ্যাপলিকেসনটি ডাউনলোড করার পূর্বো অ্যাপটি আসল কিনা তা যাচাই করার জন্য অ্যাপ্লিকেশনটির নামের নিচে Bangladesh Election Commission লেখা দেখুন।

NID Wallet Application সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আরো পড়তে পারেন – NID Wallet কি ও যেভাবে এনআইডি ওয়ালেট ব্যবহার করবেন 2024।      

ধাপ ৬ :- QR Code Scan 

মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করা সম্পন্ন হলে একটি QR  কোড সহ পরবর্তী পেজ আসবে। 

NID Wallet এপ্লিকেশটির ফেইস  ভেরিফাই করার পূর্বে QR Code স্কান করার প্রয়োজন হবে। QR Code টি প্রথমবার অ্যাকাউন্ট করার সময় সক্রিয় ভাবে  তৈরি হয়ে থাকে। 

একটি QR Code শুধুমাত্র একবার ব্যবহার করা যায়। যতবার আপনি আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন ততবার সক্রিয়ভাবে নতুন আরেকটি QR Code  তৈরি হয়ে যাবে। 

NID Wallet QR Code Scan
NID Wallet QR Code Scan

QR Code তৈরি হলে অ্যাপ এর মাধ্যমে স্কান করতে হবে।তবে মোবাইল দিয়ে একাউন্ট করলে কোনরকম QR Code   তৈরি হবে না। QR Code এর পরিবর্তে একটি লিঙ্ক  বা কোড জেনারেট হবে যা ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে।

উক্ত লিঙ্ক বা কোড জেনারেট হলে সেটি কপি করে NID Wallet Application এ নির্দিষ্ট বক্সে পেস্ত করতে হবে।  অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা শেষ হলে ফেইস ভে্রিফায় করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

ধাপ ৭ :- Face Verification  

QR Code টি স্কান করা সম্পূর্ণ হলে আপনার ফেইস স্কান করে ভেরিফায় করার জন্য মোবাইল ক্যমেরা চালু হয়ে যাবে। এখন এনআইডি কার্ড ধারি ব্যাক্তি ক্যমেরা এর সামনে মুখমণ্ডল ডানে ও বামে নড়াচড়া করে এবং চোখের পলক ফেলে ফেস ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করবে।

ফেস ভেরিফিকেশনের ধাপটি কঠিন মনে হলেও আসলে খুবই সহজ মোবাইলের সামনের অথবা পেছনের ক্যামেরা ব্যবহার করে অল্প সময়ে সহজেই ব্যক্তির ফেইস স্ক্যান করে nidcard এর আসল মালিক কে সনাক্ত করা যায়। 

NID Wallet Face Scan
NID Wallet Face Scan

ফেস ভেরিফিকেশন সফলভাবে সম্পন্ন হলে সক্রিয়ভাবে সাইটে  একাউন্ট লগইন হয়ে যাবে এবং একাউন্ট ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে। অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার পর ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত সকল সেবা ঘরে বসে গ্রহণ করতে পারবেন। 

ভোটার আইডি কার্ড রিইস্যু আবেদন

একাউন্ট রেজিস্টার করা শেষ হলে সরাসরি একাউন্ট ড্যাশবোর্ড পেয়ে যাবেন। এখন থেকে রি-ইস্যু অপসন নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনি NID Card Re-Issue করার পেজে পেয়ে যাবেন। 

Nidw Profile Dashboard
Nidw Profile Dashboard

রিইস্যু ফরম পূরণ

NID Card Re-Issue পেজে একটি এডিট বাটন পেয়ে যাবেন। রি-ইস্যু করার জন্য এডিট অপসন নির্বাচন করুন। এবার একটি ফর্ম পেয়ে যাবেন।

এখন আপনার পূর্বে সংগ্রহ করা জিডির কপিটির প্রয়োজন হবে। অপর পূর্বেই জিডির আবেদন করেছে। এবং একই সাথে এটি ফটোকপি করে স্ক্যান করে রেখেছিলাম।  

NID Card Re-Issue Form
NID Card Re-Issue Form

জিডিটি করার সময় জিডি নাম্বার, থানার নাম ইত্যাদি তথ্য প্রয়োজন হয়েছিল। এখন এসকল তথ্য দিয়ে Re-Issue ফরমটি পূরণ করতে হবে। 

NID Reissue fee 

NID Card Re-Issue আবেদন করার নির্দিষ্ট ফি রয়েছে। প্রথমবার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদন ফি মোট ২৩০ টাকা। এখানে ফি ২০০ টাকা এবং ১৫% ভ্যাট সহ মোট ফি ২৩০ টাকা। 

আরও পড়ুন  NID Wallet কি ও যেভাবে এনআইডি ওয়ালেট ব্যবহার করবেন 2024

দ্বিতীয়বার আইডি কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে ফি ৩০০ টাকা এবং ১৫% ভ্যাট সহ ফি মোট ৩৪৫ টাকা। দ্বিতীয়বার আবেদনের পর আবার যতবার আবেদন করবেন প্রত্যেকবার ভ্যাট সহ মোট ৫৭৫ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। 

NID Card Re-Issue Fee
NID Card Re-Issue Fee

আপনি চাইলে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস রকেট অথবা বিকাশ থেকেও সহজেই জাতীয় পরিচয়পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড তথ্য সংশোধনী পরিশোধ করতে পারেন। বিকাশ এর মাধ্যমে কিভাবে NID Card Re-Issue ফি পরিষদ করবেন তা নিম্নে দেওয়া হলো –

বিকাশ এর মাধ্যমে আইডি কার্ড রি-ইস্যু ফি প্রদান 

এভাবে ফি পরিশোধ করার জন্য প্রথমে আপনার বিকাশ একাউন্টে লগইন করুন। অ্যাকাউন্ট ড্যাশবোর্ড থেকে পে বিল > সরকারি ফি > NID Services  অপশনে যান।

Bkash App
Bkash App

এখান থেকে আবেদনের ধরন ও তথ্য সিলেক্ট করে এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিয়ে কি পরিশোধ করতে পারেন। 

Nidw Fee
Nidw Fee

প্রযোজ্য ফি পরিষদ করা সম্পূর্ণ হলে আবার আপনার NID Card Re-Issue এর পেজে ফিরে যেতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টন্স আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। 

ডকুমেন্টস আপলোড করুন

ডকুমেন্টস হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র হারানোর বিষয়ে যেই জিডিটি করেছিলেন তার একটি স্ক্যান কপি এখন প্রয়োজন হবে। স্ক্যান করতে না পারলে মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করে স্পষ্ট ছবি নিতে হবে। 

খেয়াল রাখবেন যাতে ছবিতে পর্যাপ্ত আলো থাকে এবং পুরো জিডিটি আসে। জিডিটি নির্দিষ্ট কিছু ফরমেট ছাড়া জমা দেওয়া যাই না। আপনার ফাইলটি অবশ্যই PDF / JPEG অথবা PNG হতে হবে। একই সাথে ফাইলটি 100 KB এর মধ্যে হতে হবে। 

Documents For NID Reissue
Documents For NID Reissue

ডকুমেন্ট আপলোড করা হলে পুরো আবেদনের একটি সামারি দেখানো হবে। সামারিতে আপনার Re-Issue আবেদনের ধরণ এবং যা যা ডকুমেন্ট আপলোড করেছেন সে সম্পর্কে তথ্য দেখাবে। 

NID Reissue Application Summary
NID Reissue Application Summary

সামারিতে সব কিছু ঠিক থাকলে আবেদন সাবমিট করতে হবে। সাবমিট করা হলে আবেদনটি অনুমোদনের জন্য পেন্ডিংয়ে চলে যাবে। নির্বাচন কমিশন আবেদনটি যাচাই করবে করবে এবং সব ঠিক থাকলে অনুমোদন করে দিবে। 

আবেদন অনুমোদন হতে সাধারণত ২ – ৭ দিন সময় লাগে। 

হারানো NID Card ডাউনলোড 

হারানো NID Card Re-Issue আবেদন অনুমোদন হলে আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বারে ১০৫ নাম্বার থেকে পাঠানো একটি SMS মাধ্যমে তা জেনে যাবেন। SMS এ লেখা থাকবে আপনার সর্বশেষ রি-ইস্যু আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। 

আপনি চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে অথবা অনলাইন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার আবার আপনাকে আপনার এককোটিন ড্যাশবোর্ডে ফিরে যেতে হবে। 

এখন আবেদনকারীর ছবি, অন্য কিছু তথ্য এবং নিচের দিকে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার অপসন পেয়ে যাবেন। NID Card এখন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ডাউনলোড অপসন নির্বাচন করলে কাঙ্খিত ফাইলটি PDF আকারে আপনার কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়ে যাবে। 

ডাউনলোড করা আইডি কার্ডটি প্রিন্ট করে ভালো করে লেমিনেটিং করে নিলে আসল জাতীয় পরিচয় পত্রের মতো এটি ব্যবহার করা যাবে। অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা জাতীয় পরিচয় পত্র এবং নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে থেকে ডাউনলোড করা NID Card এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেয়। 

শেষ কথা 

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি, আপনি কিভাবে আপনার অনলাইনে NID Card Re-Issue আবেদন করতে পারেন। আমরা বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেগুলো আপনাকে সহজেই অনলাইনে NID Card Re-Issue আবেদন করতে সাহায্য করবে। 

আপনি যদি NID Card সম্পর্কে আরো পোস্ট পড়তে চান তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন এবং আপনি আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের সাথে কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন। 

FAQ’s

NID Card Re-Issue ফি কত টাকা ?

প্রথমবার সাধারণ ডেলিভারিটি আইডি কার্ড রি-ইস্যু ফি ২৩০ টাকা এবং জরুরি ডেলিভারিতে রি-ইস্যু ফি মোট ৩৪৫ টাকা। 

NID Card Re-Issue আবেদন অনুমোদন হতে কত দিন লাগে ?

সঠিক ভাবে NID Card Re-Issue আবেদন করলে এবং সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে আবেদন অনুমোদন হতে সাধারণত ২-৭ দিন সময় লাগে। তবে নির্বাচন কমিশনের কাজের চাপ বেশি থাকলে সময়ও বেশি লাগতে পারে। 

Nidw একাউন্ট এর নাম এবং পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করণীয় ?

একাউন্ট পাসওয়ার্ড এবং নাম ভুলে গেলে একাউন্ট রেজিস্টার করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একাউন্ট এ প্রবেশ করতে পার্বনে। প্রবেশ করে একাউন্ট নাম এবং পাসওয়ার্ড বদল করে নিতে পারেন। 

NID Wallet Application কি সুরক্ষিত ?

জি হ্যা। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে NID Wallet সেবা প্রদান করা হয়। আপনি নিশ্চিন্তে NID Wallet ব্যবহার করতে পারেন। 

NID Card Re-Issue আবেদনের জন্য জিডি লেখা বাধ্যতামূলক ?

জি হ্যা। কার্ড রি-ইস্যু করতে হলে অবশ্যই কার্ড কোথায় এবং কিভাবে হারিয়েছে তা জানিয়ে জিডি লিখতে হবে। 

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।