NID দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে চেক করুন 2024
আপনার NID দিয়ে কয়টি SIM রেজিস্টার করা হয়েছে জানা নেই ? কিভাবে চেক করবেন আপনার NID ব্যবহার করে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে ? আজকের পোস্টে একটি NID Card এ কয়টি SIM রেজিস্টার করা হয়েছে তা কিভাবে চেক করবেন বিস্তারিত জানবো।
পূর্বে নতুন SIM রেজিস্টার করার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হতো না। ফলে একজনের সিম অন্য জন ব্যবহার করতো এবং ব্যবহারকারী তা অনেক ক্ষেত্রে জানতেও পারতো না।
তবে বর্তমানে নতুন SIM রেজিস্টার করতেহলে সকল বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হয়। এখন সকল SIM রেজিস্টার করার ক্ষেত্রে ১০ আঙুলের ছাপ এবং ভালো করে ফেইস ভেরিফাই করতে হয়।
ফলে যে কেও একে অন্যের SIM ব্যবহার করতে পারে না। আবেদনকারীর SIM রেজিস্ট্রেশন তথ্য চেক করে জেনে নিতে পারে যে তার NID Card দিয়ে কয়টি SIM রেজিস্টার করা হয়েছে।
NID Card দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে চেক করুন
একটি NID Card ব্যবহার করে ব্যক্তি সর্বোচ মোট ১৫ টি SIM রেজিস্টার করতে পারবে। পূর্বে SIM রেজিস্টার করার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন ছিল না। একই সাথে একটি NID Card ব্যবহার করে কয়টি SIM রেজিস্টার করা যাবে তা নির্দিষ্ট করা ছিল না।
অর্থাৎ কেও চাইলে একটি NID Card ব্যবহার করে ১০০ টি SIM ও রেজিস্টার করতে পারতো। এর ফলে অনেকে নিজের এনআইডি কার্ড দিয়ে পরিবার বা আত্মীয় স্বজনদেরও SIM রেজিস্টার করে।
এটি পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে। এজন্য সরকার থেকে নতুন নিয়ম করা হয়েছে যে একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে মোট ১৫ টির বেশি SIM রেজিস্টার করা যাবে না।
আপনার এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে কয়টি SIM রেজিস্টার করা হয়েছে তা জানা না থাকলে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এজন্য আমাদের সবার উচিৎ এই বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়া।
আজকের পোস্টে আমরা দেখবো একটি এনআইডি দিয়ে কয়টি SIM রেজিস্টার করা হয়েছে তা কিভাবে চেক করবেন। কয়টি SIM রেজিস্টার করা হয়েছে চেক করে কোনো SIM অপ্রয়োজনীয় হলে তা বাতিল করে দিতে হবে।
একটি এনআইডি কার্ডে কয়টি SIM রেজিস্টার করা তা দুই ভাবে চেক করা যাই –
নিম্নে উভয় পক্রিয়া বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলো –
SMS এর মাধ্যমে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে চেক
বিটিআরসি ( BTRC ) এর সর্বশেষ নির্দেশনা থেকে জানা যায় একজন ব্যক্তি তার জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে সর্বোচ ১৫ টি SIM রেজিস্টার করতে পারবে। কোনো অপ্রয়োজনীয় SIM রেজিস্টার করা থাকলে তা যত দ্রুত সম্ভব বাতিল করতে হবে।
SMS এর মাধ্যমেই খুব সহজেই ঘরে বসে কয়টি SIM রেজিস্টার করা তা চেক করা যায়। এজন্য একটি সচল ফোন থাকলেই চলবে। কিভাবে SMS এর মাধ্যমে SIM রেজিস্টার তথ্য চেক করবেন নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো –
- SMS এর মাধ্যমে SIM রেজিস্টার তথ্য চেক করার জন্য প্রথমে মোবাইল একটি কোড ডায়েল করতে হবে।
- কোডটি হলো – *16001# কোডটি লিখে ডায়েল করুন।
- এরপর আপনার এনআইডি কার্ড নাম্বারের শেষের চারটি সংখ্যা লিখে SMS সেন্ড করুন।
- সব কিছু ঠিক করে করলে ১৬০০১ নাম্বার থেকে ফিরতে SMS এ SIM রেজিস্টার অর্থাৎ ওই এনআইডি ব্যবহার করে কয়টি SIM রেজিস্টার করা হয়েছে তার তালিকা চলে আসবে।
কয়টি SIM রেজিস্টার করা হয়েছে চেক করার ক্ষেত্রে SIM চেক করার কোড – *১৬০০১#
ফিরতি SMS এ আপনার এনআইডি ব্যবহার করে যে SIM গুলো রেজিস্টার করা হয়েছে তা দেখানো হবে। তবে পুরনাম্বার দেখানো হবে না। শুধুমাত্র নাম্বারের প্রথম ৩ সংখ্যা এবং শেষ ৩ সংখ্যা দেখানো হবে। যেমন – ০১৯*****১০৭
ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট দিয়ে সিম নিবন্ধন যাচাই
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) ছাড়া অন্য কোনো আইডি যেমন – Millitary ID, Passport, Driving License দিয়েও SIM রেজিস্টার করা যাই। এই আইডি গুলো দিয়ে কয়টি SIM রেজিস্টার করা হয়েছে তাও চেক করা যায়।
এজন্য আগের প্রক্রিয়াই একইভাবে *16001# নাম্বারে ডায়েল করতে হবে। তবে এবার NID Card নাম্বারের পরিবর্তে যেই আইডি দিয়ে SIM রেজিস্টার করা সেই আইডি নাম্বারের শেষের ৪ সংখ্যা লিখতে হবে। ফিরতি SMS এ আপনার রেজিস্টারকৃত SIM এর সংখ্যা এবং নাম্বার দেখতে পাবেন।
এক্ষেত্রেও ফিরতি SMS এ আপনার অন্যান্য আইডি ব্যবহার করে যে SIM গুলো রেজিস্টার করা হয়েছে তা দেখানো হবে। তবে পুরনাম্বার দেখানো হবে না। শুধুমাত্র নাম্বারের প্রথম ৩ সংখ্যা এবং শেষ ৩ সংখ্যা দেখানো হবে
হারানো SIM কার নাম রেজিস্টার করা কিভাবে চেক করবেন
হারানো SIM কার নাম রেজিস্টার করা তা চেক করার আলাদা কোনো নির্দিষ্ট উপায় নেই। সম্ভাব্য যেই আইডি কার্ড দিয়ে SIM টি রেজিস্টার করা থাকতে পারে সেই আইডি কার্ডের শেষের ৪ সংখ্যা *১৬০০১# নাম্বারে ডায়েল করে দেখতে হবে।
যদি ওই আইডি কার্ড দিয়ে SIM টি রেজিস্টার করা হয়ে থাকে তবে তা দেখতে পাবেন। পরবর্তীতে আপনার সেই আইডি কার্ড ব্যবহার করে হারানো SIM টি উত্তোলন করে নিতে পারবেন।
এখন যদি এভাবে সমস্যার সমাধান অর্থাৎ হারানো SIM টি খুঁজে পাওয়া না যাই তবে সরাসরি ওই SIM কোম্পানির কাস্টোমার কেয়ারে কথা বলতে হবে। সেখান থেকে আপনার পরিচয় এবং আপনি SIM এর আসল মালিক কিনা তা যাচাই করে সিমটি বন্ধন বা পুনরায় উত্তোলন করতে পারবেন।
SIM হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হয়ে গেলে SIM টি পুনরায় তোলার জন্য যার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্টার করা হয়েছিল তার ফিঙ্গারপ্রিন্টও প্রয়োজন হবে।
SIM রেজিস্টার তথ্য চেক করার প্রয়োজনীয়তা ও সতর্কতা
আমাদের মধ্যে অনেকেই নিজের আইডি কার্ড ব্যবহার করে পরিবার বা আত্মীয় স্বজনদের SIM রেজিস্টার করে দেয়। এতে পরবর্তীতে ব্যক্তিকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
তাছাড়া কোন SIM কার্ড নাম রেজিস্টার করা তাও ওএনএক ভুলে যাই। ফলে SIM চুরি হয়ে গেলে তো উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পরে। এজন্য আমাদের উচিৎ নিজের আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্টার করা সকল সিমের সম্পর্কে অবগত থাকা।
তাছাড়া নতুন SIM রেজিস্টার করার ক্ষেত্রে অনেকে অফিসিয়াল কর্মকর্তার কাছ থেকে না করিয়ে অন্য তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে SIM রেজিস্টার করে। এমন করে SIM রেজিস্টার করা উচিৎ না। এভাবে SIM রেজিস্টার করলে আবেদনকারীর আইডি কার্ডের তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি হলে পরবর্তীতে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে।
শেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি, আপনি কিভাবে আপনার পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটি অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারেন। আমরা বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেগুলো আপনাকে সহজেই পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডটি অনলাইনে ডাউনলোড করতে সাহায্য করবে।
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কে আরো পোস্ট পড়তে চান তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন এবং আপনি আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের সাথে কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন।
আপনার নামে কয়টি সিম আছে তা জানতে যে কোন মোবাইল থেকে ডায়াল করুন *১৬০০১#। এরপর আপনার আইডি কার্ডের শেষ ৪ ডিজিট দিয়ে Reply/Send করুন। ফিরতি মেসেজে আপনার নামে নিবন্ধিত সিমের নাম্বারগুলো জানানো হবে।
বিটিআরসি- এর তথ্য মতে একটি আইডি কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যায়।