নতুন ভোটার হতে কি কি প্রয়োজন

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে 2024 – Documents For New NID

নতুন ভোটার আবেদন করছেন? তবে জানেন না নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? বা নতুন ভোটার হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স কত হতে হবে? কোন সমস্যা না। আজকের পোস্টে আমরা নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে অর্থাত্‍ কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন এবং নতুন ভোটার আবেদন এর সর্বনিম্ন বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। 

সাধারনভাবে নতুন ভোটার আবেদন করতে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ, জন্ম নিবন্ধন, পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং নাগরিক সনদ প্রয়োজন হয়। তাছারা যেসব এলাকাই রহিঙ্গাদের বসতি রয়েছে সেখানে ভোটার আইডি করতে কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্তস এর প্রয়োজন হই। 

আপনার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না থাকলে উপজেলা অফিস থেকে কি কি অতিরিক্ত কাগজপত্র প্রয়োজন তা জেনে নিতে পারেন। 

বর্তমান সময়ে অনলাইনে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করার জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৬। নতুন ভোটার নিবন্ধন এর জন্য প্রয়োজনিও কাগজপত্র জমা দিলে সাধারন ভাবে ১৮ বছর এর আগেই আপনার জাতিীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন।  

এক্ষেত্রে মনে রাখবেন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পূূর্বেই আপনি নতুন ভোটার আবেদন করতে পারবেন। তবে ভোটার তালিকাই আপনার নাম যুক্ত হবে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর। 

নতুন ভোটার আবেদন করতে যা যা প্রয়োজন হবে 

নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য মূলত আপনার শিক্ষা সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন এর অনলাইন কপি, পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং নাগরিকত্বের সনদ প্রয়োজন হবে। 

আবার ঠিকানা এর জন্য কর পরিষদ রশিদ / ইউটিলিটি বিল এর কপি প্রয়োজন হবে। রক্তের গ্রুপ প্রমাণ এর জন্য রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা রিপোর্ট লাগে। বোঝার সুবিধারতে নিম্নে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করতে প্রয়োজনিও কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হল :- 

  • শিক্ষা সার্টিফিকেট 
  • নাগরিক সনদ
  • জন্ম নিবন্ধন 
  • প্রত্যয়ন পত্র
  • ইউটিলিটি বিলের কপি ( যেমন বিদ্যুৎ বিল )
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড এর কপি
  • ট্যাক্স বা কর পরিষদ রশিদ 

এক্ষেত্রে মনে রাকবেন যদি সম্ভব হই আপনার পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সও অন্য কাগজপত্র এর সাথে জমা দিতে পারেন। আবেদনকারি যদি বিবাহিত হয় তবে কাবিরনামা এবং যদি স্বামী বা স্ত্রির জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফতোকপি থাকে তাহলে তাও জমা দিতে হবে।  

এসকল কাগজপত্র এর পাশাপাশি পূর্বে কখনো জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন করেননি এই মর্মে একটি সম্পুূর্ণ অঙ্গিকারনামাও জমা দিতে হয়। 

আরও পড়ুন  NID Card Re-Issue Online 2024 - জাতীয় পরিচয় পত্র রি-ইস্যু আবেদন 

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে

সাধারনভাবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে শিক্ষা সনদ, জন্ম নিবন্ধন এবং পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র এর কপি প্রয়োজন হয়। এছারাও রক্তের সম্পর্কে আছেন এমন ৩ জনের জাতীয় পরিচয় পত্র এর প্রয়োজন হয়। আপনার ঠিকানা প্রমাণ এর জন্য ট্যাক্স রশিদ / ইউটিলিটি বিলের কপি / জমির খাজনা রশিদ অথবা এলাকার চেয়ারম্যান এর প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হয়। 

ঝোঝার সুবিধারতে নতুন ভোটার হতে কী কী লাগে টা নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।  

১. জন্ম নিবন্ধন সনদ

নতুন ভোটার আইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড এর আবেদন করতে প্রথমেই আপনার জন্ম নিবন্ধন এর অনলাইন কপি অর্থাৎ ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে। জন্ম নিবন্ধন থাকা বাধত্যতামূলক। এক্ষেত্রে মনে রাকবেন হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন কোনমতেই গ্রহনযোগ্য নয়।

জন্ম নিবন্ধন
জন্ম নিবন্ধন

এবং  জন্ম নিবন্ধন শুধু বাংলা থাকলেই হবে না। বাংল এর পাশাপাশি জন্ম নিবন্ধন এর সকল তথ্য ইংরেজিতেও থাকতে হবে। জন্ম নিবন্ধন তথ্য  ইংরেজি করা না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন কিভাবে করতে হয় তা জেনে খুব সহজেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করে নিতে পারেন।   

২. শিক্ষা সনদ

জন্ম নিবন্ধন এর পর প্রয়জনিও সবথেকে গুরুত্তপূর্ণ ডকুমেন্ট হল আপনার শিক্ষা সনদ বা সার্টিফিকেট। যেমন বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন সার্টিফিকেট যেমন JSC / SSC / HSC  সার্টিফিকেট। সার্টিফিকেটে অবশ্যই নিজের নাম, পিতা মাতার নাম, এবং জন্ম তারিখ আপনার জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ি হতে হবে। 

শিক্ষা সনদ
Source – dhakatimes24.com

এক্ষেত্রে কোন তথ্য ভুল থাকলে জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করা যাবে না। 

আপনার যদি কোন শিক্ষা সার্টিফিকেট না থাকে তবে পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে হবে। আপনার যদি এসব ডকুমেন্তসও না থাকে তবে শুধু জন্ম নিবন্ধন জমা দিলেই চলবে। 

৩. পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড

বর্তমানে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ  ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্যে পিতা মাতার  জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারও যুক্ত করা হয়। এজন্য নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য অবশ্যই ব্যক্তির পিতা এবং মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড থাকতে হবে। 

জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড
NID Card

পিতা মাতা কেউ মৃত হলে অবশ্যই মৃত্যু নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রে তাদের নাম সহ অন্য সকল তথ্য আপনার অন্যান্য কাগজপত্র যেমন শিক্ষা সার্টিফিকেট এবং জন্ম নিবন্ধন এর অনুরূপ হতে হবে। 

৪. রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট

নতুন ভোটার আইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড তৈরির জন্য ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ এর তথ্য প্রয়োজন হবে। যদি রক্তের গ্রুপ এর প্রমাণপত্র না থাকে তবে নতুন ভোটার আবেদনের পূর্বে নিকটস্থ হাসপাতাল থেকে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে নিতে হবে। 

এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আপনার রক্তের গ্রুপ সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়া আবশ্যক নয়। তবে যদি সম্ভব হয় রক্তের গ্রুপ সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন  ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে 2024

রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট এর ছবি তুলে অথবা রিপোর্টটি স্ক্যান করে প্রাপ্ত রিপোর্টের কপি অনলাইনে আপলোড করে অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে যুক্ত করে দিতে হবে। 

৫. নাগরিক সনদ

নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য আপনার নাগরিক সনদ থাকা আবশ্যক। নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র অর্থাৎ নাগরিক সনদ একটি বাধ্যতামূলক ডকুমেন্ট। 

আপনি আপনার নাগরিক সনদ এলাকার পৌরসভা কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদের অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। নাগরিকত্ব প্রমাণপত্রের ডকুমেন্ট কে চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন পত্রও বলা হয়।

৬. স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ড

যদি নতুন ভোটার আবেদনকারী বিবাহিত হয় তবে আবেদনের অন্যান্য সকল ডকুমেন্টস এর সাথে অবশ্যই স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড এর কপি জমা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র এর কপির পাশাপাশি বিবাহের কাবিননামার কপিও জমা দেওয়া যেতে পারে। 

৭. অঙ্গীকারনামা

সবার ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ডের অঙ্গীকারনামা লেখার প্রয়োজন হয় না। যে সকল ব্যক্তি আগে ভোটার হওয়ার সুযোগ পেলেও ভোটার হননি তাদের ক্ষেত্রে ভোটার আবেদনের জন্য অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন পড়ে।

ভোটার আইডি কার্ডের অঙ্গীকারনামা হচ্ছে মূলত আবেদনকারী পূর্বে কোন এলাকা থেকে বোটানিবন্ধন করেনি তার প্রমাণ পত্র।  এক্ষেত্রে মনে রাখবেন আবেদনকারী দ্বিতীয়বার ভোটার আবেদন করছে তা প্রমাণিত হলে আবেদনকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাই ভোটার অঙ্গীকারনামা খুবই সাবধানে এবং ভেবেচিন্তে লিখবেন।

ভোটার অঙ্গিকারনামা
ভোটার অঙ্গিকারনামা

সাধারণভাবে যেকোনো ব্যক্তি শুধুমাত্র একবারই ভোটার নিবন্ধন অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করতে পারে। কেউ যদি দ্বিতীয়বার জাতীয় পরিচয় পত্র করতে চায় তবে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। তাই যাদের বয়স বেশি হয়েছে এবং পূর্বে ভোটার হওয়ার সুযোগ আবেদন করেননি তাদের এরকম অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়। 

অঙ্গীকারনামাটি সাধারণ A4 কাগজে কম্পিউটারের সাহায্যে লিখে স্বাক্ষর করে জমা দিতে হয়। আপনি যদি চান স্থানীয় যে কোন ফটোকপির দোকান থেকে এরকম অঙ্গীকারনামার নমুনা দেখে নিতে পারেন।

ভোটার অঙ্গীকারনাম কি এবং কেন প্রয়োজন হয় তা জানা নাও থাকতে পারে। ভোটার অঙ্গীকারনাম কি, কেন প্রয়োজন হয় এবং কিভাবে লিখবেন বিস্তারিত জানতে আরো পড়তে পারেন :- যেভাবে নতুন ভোটার অঙ্গিকারনামা লিখবেন

৮. হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ

নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধনের জন্য আপনার বাড়ির ট্যাক্স পরিষদ রশিদেরও প্রয়োজন হবে। বাড়ির ট্যাক্স পরিশোধ রশিদ ভোটার নিবন্ধনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। এই হল্ডিং ট্যাক্স রশন আপনি আপনার এলাকার পৌরসভা / সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদের অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার রশিদে আপনার নাম না থাকলেও সমস্যা নেই। পিতা-মাতা বা পরিবারের অন্য কোন সদস্যের নাম থাকলেই চলবে। 

এক্ষেত্রে মনে রাখবেন বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ বাধ্যতামূলক কোন ডকুমেন্ট নয়। তবে যদি হোল্ডিং ট্যাক্স  রশিদ দেওয়া সম্ভব হয় তবে এটি দেওয়া উচিত।

৯. ইউটিলিটি বিলের কপি 

আপনার বাড়ির ট্যাক্স রশিদের সাথে নতুন ভোটার আবেদনের ঠিকানা প্রমাণের জন্য যে কোন ইউটিলিটি বিলের কপি প্রদান করতে হবে। যেমন পানি, গ্যাস অথবা বাসার বিদ্যুৎ জমা দিতে হবে। বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ এর রশিদের মতন ইউটিলিটি বিলের কপিতেও নিজের নাম না থেকে পিতা-মাতা বা পরিবারের অন্য কোন সদস্যের নাম থাকলেই চলবে। 

আরও পড়ুন  পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম 2024

১০. পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি

উপরোক্ত সকল ডকুমেন্টের সাথে আপনি চাইলে ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এবং আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সও  জমা দিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন আপনার পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স কোন বাধ্যতামূলক ডকুমেন্ট নয়। 

Passport
Source – en.banglatribune.com

তবে আপনার যদি শিক্ষার সার্টিফিকেট অর্থাৎ সনদ না থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। আপনার কাছে যদি আপনার শিক্ষা সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স কোনটাই না থাকে তবে শুধু জন্ম নিবন্ধন জমা দিলে হবে। 

নতুন ভোটার আবেদন করার শর্ত

বাংলাদেশে নতুন ভোটার আবেদন অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড এর জন্য আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে। শর্ত গুলো হলো :- 

  • ব্যক্তির বয়স অবশ্যই ১৬ বছর বা বেশি হতে হবে
  • অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে
  • নতুন ভোটার নিবন্ধক হতে হবে

উপরোক্ত শর্তগুলোর যেকোনো একটি পূরণ না করতে পারলে আপনি ভোটার আইডি কার্ড পাঠান জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদন করতে পারবেন না। 

শেষ কথা 

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি, নতুন ভোটার হতে কী কী লাগে অর্থাত্‍ কী কী ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়। আমরা  নতুন ভোটার আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন হয় এবং তা কিভাবে সংগ্রহ করতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি যা আপনাকে সহজেই নতুন ভোটার আবেদন করতে সাহায্য করবে। 

আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কে আরো নতুন পোস্ট করতে চান তাহলে ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন। এবং আপনি  আপনার মূল্যবান মতামত বা কোন প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্টে শেয়ার করতে ভুলবেন না।  

FAQs

নতুন ভোটার হতে কি কি প্রয়োজন হবে? 

নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য সাধারন মূলত আপনার শিক্ষা সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন এর অনলাইন কপি, পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং নাগরিকত্ব সনদ প্রয়োজন হবে।  

ভোটার আবেদন সম্পূর্ণ হলেই কি ভোট দিতে পারব?

ভোট দেওয়ার জন্য আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। ১৬ বছর বা তার বেশি বয়স হলেই ভোটার আবেদন করা যায়। তবে ভোটার তালিকায় আপনার নাম উঠবে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর।

নতুন ভোটার আবেদনের জন্য জন্ম নিবন্ধন থাকা কি বাধ্যতামূলক?

জি হ্যাঁ। নতুন ভোটার আবেদন করতে হলে জন্ম নিবন্ধন থাকা অবশ্যক। এবং জন্ম নিবন্ধনটি  অবশ্যই ডিজিটাল হতে হবে ও বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি তথ্য থাকতে হবে। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া কোনমতেই ভোটার আবেদন করা সম্ভব না।

পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ভোটার আবেদনের জন্য কি বাধ্যতামূলক?

জি না। পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ভোটার আবেদনের জন্য বন্ধন মূলক নয়। তবে যদি আপনার শিক্ষার সার্টিফিকেট না থাকে তবে পাসপোর্ট এর ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। আপনার শিক্ষা সার্টিফিকেট পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কোনটাই যদি না থাকে তবে শুধু জন্ম নিবন্ধন জমা দিলেই হবে। 

Similar Posts

7 Comments

  1. আপনার পোস্ট থেকে আমি খুবই উপকৃত হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।
    বিশেষ করে শিক্ষা সনদ বিষয়ক তথ্য থেকে।
    আমি আপনার/আপনাদের দীর্ঘায়ু ও কল্যাণ কামনা করি।
    🤲🤲🤲🤲🤲

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।