Online Birth Certificate Correction – অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন 2024
আপনার জন্ম নিবন্ধন এ ইংরেজি নাম বা অন্য কোন তথ্য ভুল আছে? তবে চিন্তার কোন ব্যাপার না। এখন অনলাইনে হাতে থাকা মোবাইল ফোনের সাহায্যে খুব সহজেই তথ্য পরিবর্তনের আবেদন করে জন্ম নিবন্ধনের ভুল তথ্য সংশোধন করা সম্ভব। আজকের পোস্টে আমরা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার সবথেকে সহজ পদ্ধতি দেখাবো।
অনেক ক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধনে আপনার ইংরেজি নাম বা পিতা-মাতার নামে ভুল থাকতে পারে। এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার প্রয়োজন হয়। এখন সময় আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন করে জন্ম নিবন্ধনের বিভিন্ন তথ্য সংশোধন করতে পারেন। আজকের এই পোস্টে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার সঠিক এবং সব থেকে সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৮ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধনই আপনার নাগরিক হওয়ার একমাত্র প্রমাণ। জন্ম নিবন্ধন এর উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয় পত্র সহ বিভিন্ন সার্টিফিকেট বা অন্যান্য ক্ষেত্রে নাম বয়েস ও পিতা-মাতার নাম দেওয়া হয়। কারো জন্ম নিবন্ধনে ভুল থাকলে পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র যেমন আপনার পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র বা বিভিন্ন সার্টিফিকেটেও আপনার নাম ভুল থাকতে পারে। এজন্য জন্ম নিবন্ধনে কোন ভুল থাকলে তা যত দ্রুত সম্ভব সংশোধন করা উচিত। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন থেকে সংশোধন করার নিয়ম জানা থাকলে আপনি এখনই ঘরে বসে হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করেই আপনার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে নিতে পারেন। তাহলে চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে কি কি প্রয়োজ।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি লাগে
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রয়োজন হবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড, একাডেমিক সার্টিফিকেট, হাসপাতালের সনদ, এলাকার চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর এর প্রত্যয় পত্র। জন্ম নিবন্ধন এর ঠিকানা সংশোধন করার জন্য প্রয়োজন হবে বাড়ির ট্যাক্স এবং ইউটিলিটি বিলের কপি অথবা জমির কর এর রশিদ। জন্ম নিবন্ধনে জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয় পত্র বা শিশু হলে টিকা কার্ড অথবা বোর্ড পরীক্ষার সনদ। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি তালিকা নিম্নে দেয়া হলো। কি তথ্য সংশোধন করবেন তার ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
সংশোধন এর বিষয় | প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট |
ব্যাক্তির নাম সংশোধন | ১। জাতীয় পরিচয় পত্র ২। শিক্ষাগত যোগ্যতা এর সনদ ৩। বয়স কম হলে টিকা কার্ডের কপি |
পিত-মাতার নাম সংশোধন | ১। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) ২।পিতা-মাতার জন্ম নিবন্দন এর অনলাইন কপি ৩। শিক্ষা সনদ |
বর্তমান ঠিকানা সংশোধন | বাড়ির বিদ্যুৎ বা ইউটিলিটি বিলের কপি |
স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন | ১। এলাকার চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন পত্র ২। বাড়ির কর পরিষদ এর রশিদ |
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম
![বাংলাদেশ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এর ওয়েবসাইট bdris.gov.bd](https://nidinfobd.com/wp-content/uploads/2023/12/Screenshot-2023-12-30-141544-1024x510.png)
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য প্রথমে এই ভিজিট করুন বাংলাদেশ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এর ওয়েবসাইট। এখান থেকে আপনার ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে সার্চ করুন এবং আপনার নিবন্ধন কার্যালয় বাছাই করুন। তারপর যে তথ্য সংশোধন করতে চান তা সিলেক্ট করুন এবং সঠিক তথ্য লেখুন। সর্বশেষে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রের ডকুমেন্টস আপলোড করুন এবং প্রিন্ট কপি কাউন্সিলর বা পৌরসভা ইউনিয়ন অফিসে জমা দিন। আপনার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন অনুমোদন হলে সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন নির্দিষ্ট সময়ে সংগ্রহ করতে পারবেন।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার ধাপ সমূহ
জন্ম নিবন্ধনে ভুল হলে এবং তার সংশোধন করা না হলে পরবর্তী সময়ে ওই ভুলের কারণে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। এখন অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম জানা থাকলে ঘরে বসেই জন্ম নিবন্দন সংশোধন করা সম্ভব। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার সঠিক ও সবথেকে সহজ পদ্ধতি নিম্নের ধাপে ধাপে দেখানো হলো :-
ধাপ ১: জন্ম নিবন্ধন ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য প্রথমেই ভিজিট করুন বাংলাদেশ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ওয়েবসাইট মেনু থেকে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন অপশনে ক্লিক করুন এই অপশন থেকে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধনের পেজে যেতে হবে।
![জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধনের পেজ](https://nidinfobd.com/wp-content/uploads/2023/12/Screenshot-2023-12-30-142422-1024x532.png)
ধাপ ২: জন্ম নিবন্ধন তথ্য বের করুন
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের পেইজে দুইটি ইনপুটফিল্ড থাকবে। প্রথম বক্সে আপনার ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং দ্বিতীয় বক্সে জন্ম তারিখটি লিখুন। ইনপুটফিল্ড সঠিকভাবে পূরণ করা সম্পূর্ণ হলে অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করে আপনার জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে নিন।
![জন্ম নিবন্ধন তথ্য বের করার পেজ](https://nidinfobd.com/wp-content/uploads/2023/12/Screenshot-2023-12-30-140544-1-1024x533.png)
জন্ম নিবন্ধন নাম্বার লেখার ক্ষেত্রে ১৭ সংখ্যা নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি যে ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনে জন্ম নিবন্ধন করেছেন সেখানে যোগাযোগ করে সঠিক নিবন্দন নাম্বারটি জেনে নিন।
এভাবে না করতে চাইলে আপনি আপনার ১৬ সংখ্যার নাম্বারটি ১৭ সংখ্যাই পরিবর্তন করে নিতে পারেন। এজন্য অনুসন্ধান করার সময় বাটনে ক্লিক করলে আপনি আপনার নিবন্দন এন্ট্রিটি দেকতে পাবেন। এখান থেকে নির্বাচন করুন বাটনে ক্লিক করে কনফার্ম করুন।
ধাপ ৩: নিবন্ধন কার্যালয় নির্বাচন করুন
![নিবন্দন কার্যালয়ই নির্বাচন](https://nidinfobd.com/wp-content/uploads/2023/12/birth-registration-correction-bd.png)
জন্ম নিবন্ধন তথ্য বের করা সম্পন্ন হলে আপনার নিবন্ধন কার্যালয় যাচাই করতে হবে। নিবন্ধন কার্যালয় হল আপনি যে ইউনিয়ন বা পৌরসভা থেকে জন্ম নিবন্ধন করেছিলেন। এখান থেকে দেশ, বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন করে যে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা হতে জন্ম নিবন্ধন করেছিলেন তা নির্বাচন করুন ।
ধাপ ৪- সংশোধনের তথ্য নির্বাচন
এখন আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনে যে সকল তথ্য সংশোধন করতে চান তা ফর্মে যোগ করে শুদ্ধ তথ্যটি লিখুন।
![সংশোধনের তথ্য নির্বাচন](https://nidinfobd.com/wp-content/uploads/2023/12/Screenshot-2023-12-30-143111-1024x437.png)
যেমন যদি বাংলা নাম সংশোধন করতে হয় সেক্ষেত্রে বিষয়ের পাশে ড্রপড মেনু থেকে নাম বাংলায় নির্বাচন করুন। একইভাবে অন্য যে সকল তথ্য সংশোধন করতে চান তা যোগ করুন।
ধাপ ৫- সংশোধিত তথ্য ও সংশোধনের প্রদান
![জন্ম নিবন্দনে সংশোধিত তথ্য ও সংশোধনের প্রদান](https://nidinfobd.com/wp-content/uploads/2023/12/Screenshot-2023-12-30-143256-1024x345.png)
সংশোধিত তথ্য যোগ করা সম্পূর্ণ হলে তথ্য সংশোধন আবেদনের কারণ নির্বাচন করতে হবে। সংশোধন আবেদনের কারণ হিসেবে “ভুলভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে” নির্বাচন করুণ। জন্ম নিবন্ধনের জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে ক্যালেন্ডার হতে আপনার সঠিক জন্ম সাল, মাস এবং তারিখ নির্বাচন করুণ।
ধাপ ৬- ঠিকানা প্রদান
![জন্ম নিবন্দন ঠিকানা প্রদান](https://nidinfobd.com/wp-content/uploads/2023/12/Screenshot-2023-12-30-143632-1024x549.png)
এখন আপনাকে আপনার জন্মস্থান এবং স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন করতে হবে। আপনার ঠিকানা বর্তমান জন্ম নিবন্ধন এ যেমন আছে সেভাবেই নির্বাচন করুন। নিম্নের ছবি থেকে জেনে নিন কি কি তথ্য পূরণ করতে হবে।
ধাপ ৭- প্রমাণপত্র সাবমিট এবং আবেদন পত্র জমা
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফর্ম সফলভাবে পূরণ করা সম্পূর্ণ হলে আবেদনকারীর যোগাযোগ নাম্বার প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে যদি আপনি নিজে আবেদনকারী হয়ে থাকেন তাহলে “নিজ” নির্বাচন করতে হবে। বা সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের ক্ষেত্রে পিতা/মাতা নির্বাচন করতে হবে।
আইন গত অভিভাবক হয়ে থাকলে “ অভিভাবক” নির্বাচন করতে হবে।
![প্রমাণপত্র আপলোড ও আবেদন জমা](https://nidinfobd.com/wp-content/uploads/2023/12/Screenshot-2023-12-30-143830.png)
এক্ষেত্রে মনে রাখবেন নিজ পিতা-মাতা বাদে অন্য কেউ যেমন নানা-নানী, দাদা-দাদী বা আইনগত অভিভাবক আবেদন করলে তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) নাম্বার এর প্রয়োজন হবে।
ফর্মটি পূরণ করা সম্পূর্ণ হলে সবুজ সংযোজন বাটনে ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস অর্থাৎ প্রমাণপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করুন। এক্ষেত্রে মোবাইলে তোলা ছবিও দিতে পারেন। তবে ছবিটি সোজা হতে হবে এবং কোন পাস বড় ছোট বা অন্ধকার হওয়া যাবে না।
ধাপ ৮: জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর আবেদন পত্র প্রিন্ট
![জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর আবেদন পত্র প্রিন্ট](https://nidinfobd.com/wp-content/uploads/2023/12/Screenshot-2023-12-30-144133-1-1024x308.png)
আবেদনটি জমা দেওয়ার পর আবেদনের একটি রেফারেন্স নাম্বার/ এপ্লিকেশন আইডি পেয়ে যাবেন। এটি সংগ্রহ করে আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপিতে লিখে দিতে হবে। সর্বশেষে আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক এর সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের অফিসের জমা দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি
বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন এর তথ্য সংশোধন ও পূর্ণমোদনের জন্য নির্দিষ্ট ফি নির্ধারিত আছে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ফি প্রদান করতে। এক্ষেত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের ফি ১০০ টাকা এবং সরকারি ফি ৫০ টাকা প্রদান করতে হয়। তবে মনে রাখবেন কিছু বাড়তি খরচ আছে। বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন ফির একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হল :-
সংশোধনের ধরণ | দেশে | বিদেশে |
তথ্য সংশোধনের জন্য ফি | ১০০ টাকা | ২ ডলার |
জন্ম তারিখ ব্যতীত নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি ও অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য | ৫০ টাকা | ১ ডলার |
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মূল সনদ বা তথ্য সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ | ফি নাই | ফি নাই |
বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদের নকল সরবরাহ | ৫০ টাকা | ১ ডলার |
প্রমাণপত্র সফলভাবে আপলোড করা সম্পূর্ণ হলে পেমেন্ট অপশন থেকে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। পেমেন্ট অপশন থেকে ফ্রি আদায় নির্বাচন করলে সরাসরি আপনার ইউনিয়ন পরিষদে নগদে ফি প্রদান করতে হবে।
নিজে চালানোর মাধ্যমে জমা দিতে চাইলে “ চালান এর মাধ্যমে” নির্বাচন করুন। সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা সম্পন্ন হলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদ জমা দিন।
জন্ম নিবন্ধনে ইংরেজি করার নিয়ম
পূর্বে সকল জন্ম নিবন্ধন বাংলায় হত। জন্ম নিবন্ধনের কোন ইংরেজি ভার্সন ছিল না।এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জন্ম নিবন্ধনে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি তথ্য যুক্ত করা হয়।
এখনো যাদের জন্ম নিবন্ধন শুধু বাংলায় আছে তারা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করে ইংরেজি তথ্য যুক্ত করতে পারবে।
জন্ম নিবন্ধনের যেকোনো তথ্য পরিবর্তন বা নতুন তথ্য সংযোজন ও বিয়োজন সংশোধন হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই জন্ম নিবন্ধনে তথ্য ইংরেজি করাও জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের অন্তর্ভুক্ত।
জন্ম নিবন্ধন নাম সংশোধন করার নিয়ম
আপনার জন্ম নিবন্ধনে নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রেও একইভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নাম সংশোধনের উপযুক্ত প্রমাণ আপলোড করলেই ১৫ কার্যদিবসের মধ্যেই আবেদন অনুমোদন সম্পন্ন হয়।
এক্ষেত্রে মনে রাখবেন জন্ম নিবন্ধনে নিজের নাম সংশোধনের জন্য বয়স ও ক্ষেত্র ভেদে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণভাবে নাম সংশোধনের জন্য প্রমাণপত্র হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সার্টিফিকেট এবং বয়স কম হলে টীকা কার্ডের প্রয়োজন হয়।
জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন করার নিয়ম
বর্তমানে জন্ম নিবন্ধনের বয়স সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে আপনি চাইলে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদের বয়স সংশোধন আবেদন করে এবং উপযুক্ত প্রমাণ আপলোড করে শুধুমাত্র দিন এবং মাস সংশোধন করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ), শিক্ষা সনদ এবং পাসপোর্ট এর ভিত্তিতে মূল জন্মতারিখ এবং বয়স পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
জন্ম নিবন্ধনে পিতা/মাতার নাম সংশোধন
জন্ম নিবন্ধনে নিজের পিতা মাতার নাম সংশোধন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন প্রমাণপত্র অর্থাৎ সার্টিফিকেট পিতা মাতার নাম সংশোধনের প্রমাণপত্র হিসেবে সবথেকে বেশি গ্রহণযোগ্য। এছাড়া পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন বা ভোটার আইডি কার্ড প্রমাণপত্র হিসেবে আপলোড করে সংশোধন আবেদন করা সম্ভব।
শেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি, আপনি কিভাবে অনলাইন এর সাহায্যে ঘরে বসেই আপনার জন্ম নিবন্ধনের বিভিন্ন তথ্য সংশোধন করতে পারেন। আমরা সঠিক এবং সব থেকে সহজ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেগুলো আপনাকে সহজেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে সাহায্য করবে।
আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে আরো পোস্ট পড়তে চান তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন এবং আপনি আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের সাথে কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন।
FAQ’s
জন্ম তারিখ বাদে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে দেশে ৫০ টাকা এবং বিদেশে ১ ডলার লাগে।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে সাধারনত শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট, মেম্বার/ চেয়ারম্যান কতৃক প্রাপ্ত প্রত্যয়ন, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বিশেষ ক্ষেত্রে মেডিকেল সার্টিফিকেট ও পিতামাতার জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র, হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদও প্রয়োজন হয়।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে সাধারন ভাবে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগে।
জন্ম নিবন্ধন ফর্ম ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে।
জি হ্যা। পাসপোর্ট জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর প্রমানপত্র হিসেবে ব্যাবহার করা যাই।
জন্ম নিবন্ধন মোট ৪ বার সংশোধন করা যাই।