Smart NID Status Check 2024 – অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই
নতুন ভোটার হয়েছেন তবে এখনো NID Card হাতে পাননি ? কিভাবে NID Card Status চেক করতে হবে ? তবে জানেন না কিভাবে করবেন ? আজকের পোস্টে আমরা জন্য কিভাবে ঘরে বসেই Smart NID Card এর স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র একজন ব্যক্তির নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র এবং তার পরিচয় পত্র। জাতীয় পরিচয় পত্র অনেক সময় নকলও হতে পারে। NID Card আসল নাকি নকল তা জানার জন্য NID Card Status চেক করতে হয়।
তাছাড়া নতুন ভোটার আবেদন করার পরও এখনো NID Card হাতে না পেয়ে থাকলে Smart Card স্ট্যাটাস চেক করে জেনে নিতে পারেন আপনার কার্ড প্রস্তুত হয়েছে কিনা। NID Smart Card স্ট্যাটাস চেক করা খুবই সহজ। চেক করার সঠিক নিয়ম জানা থাকলে এখনই ঘরে বসেই স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় NID Smart Card স্ট্যাটাস চেক করা যায়। তবে এর মধ্যে সবথেকে সহজ পদ্ধতি হলো অনলাইনে এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস চেক করা। আপনার কাছে একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই স্মার্ট এনআইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
অনলাইনে না করতে চাইলে ভোটার স্লিপ নাম্বার ব্যবহার করে এবং SMS এর মাধমেও এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
আজকের পোস্টে আমরা কিভাবে ভোটার স্লিপ এর মাধ্যমে, SMS এর মাধ্যমে এবং অনলাইনে Smart NID Card Status চেক করতে পারবেন তা জানবো। আরো জানবো পুরাতন ভোটাররা কিভাবে Smart Card চেক করবেন।
NID Smart Card Status Check
NID Smart Card চেক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ( services.nidw.gov.bd ) এর মাধ্যমে করতে হয়। কার্ড স্ট্যাটাস চেক করার জন্য প্রথমেই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে হবে। ওয়েবসাইটে আবেদনকারীর NID Card নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে।
ফরম পূরণ করা শেষ হলে সিকিউরিটি ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক ফরমটি সাবমিট করুন। এভাবে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড চেক সম্পর্কিত সকল প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন এবং জানতে পারবেন আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা এবং কখন বা কোথায় পাবেন।
মনে রাখবেন জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ১৩ সংখ্যার হলে উক্ত ১৩ সংখ্যার পূর্বে আপনার জন্ম সাল বসিয়ে সাবমিট করতে হবে। অন্যথায় সাবমিট হবে না।
প্রত্যেক নাগরিকের হাতে Smart Card পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০১৯ সালের পর থেকে নিবন্ধিত সকল জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে তাদের Smart Card প্রদান করা হচ্ছে। পুরাতন লেমিনেটিং কার্ড পরিবর্তন করে Smart NID Card বিতরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাছাড়া অধিকাংশ বিভাগীয় শহরেই Smart Card বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
NID Card Status চেক করার করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টন্স
বর্তমানে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস দুইটি পদ্ধতিতে যাচাই করতে পারবেন। পদ্ধতিগুলো হলো মোবাইলে এসএমএস এর সাহায্যে স্মার্ট কার্ড চেক এবং অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড চেক।
মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে অথবা অনলাইনে সাহায্যে স্মার্টকার্ডের স্ট্যাটাস চেক করার জন্য প্রয়োজন হবে :-
- সঠিক জন্ম তারিখ
- ভোটার স্লিপ নম্বর
নতুন পুরাতন ভোটারদেরকে তাদের সঠিক জন্ম তারিখ জানতে হবে। একই সাথে পুরাতন ভোটারদের কাছে যদি ভোটার স্লিপ নাম্বার বা পরম নাম্বার না থাকে তাহলে অবশ্যই এনআইডি নাম্বারটি থাকতে হবে। এনআইডি নাম্বারটি আপনি আপনার লিমিটিং এনআইডি কার্ডে পেয়ে যাবেন।
উক্ত তথ্য সংগ্রহ করা হলে অনলাইনে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুবই সহজে আপনি আপনার NID Smart Card এর স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
এভাবে না করতে চাইলে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে ফরম পূরণ করেও NID Smart Card এর স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। অনলাইনে আইডি কার্ডের তারা চেক করতে হলে অবশ্যই মোবাইল বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে এবং মোবাইলে এসএমএস এর সাহায্যে স্ট্যাটাস চেক করতে হলে মোবাইলে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকতে হবে।
Smart NID Card Status Check Online
জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। এটি ব্যক্তির নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র এবং তার পরিচয় পত্র। কার্ডে কোনো ভুল থাকলে পরবর্তীতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যক্তি সম্পর্কিত তথ্য ভুল আসবে।
এজন্য আমাদের NID Card এ কোনো ভুল থাকলে যত দ্রুত সম্ভব সংশোধন করা। ভুল আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য NID Card Status চেক করতে হয়। জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন কিভাবে করবেন জানা নাও থাকতে পারে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আরো পড়তে পারেন –
NID Smart কার্ড স্ট্যাটাস চেক করা খুবই সহজ। আমরা কিভাবে অনলাইনে Smart NID Card চেক করবো তা ধাপে ধাপে দেখবো। ধাপগুলো নিম্ন রূপ –
- Nidw এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট
- Nidw একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
- ঠিকানা প্রদান
- মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন
- NID Wallet Application Download
- QR Code Scan
- Face Verification
- পাসওয়ার্ড সেট করা
নিম্নে ধাপ গুলো ব্যাখ্যা করা হলো –
ধাপ ১ :- Nidw এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ NID Smart Card অনলাইনে চেক করার জন্য প্রথমে ভিজিট করুন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ( services.nidw.gov.bd )। ভোটার নিবন্ধনের সকল তথ্য এই ওয়েবসাইটের ডাটাবেজে সংরক্ষিত আছে।
ধাপ ২ :- একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ( services.nidw.gov.bd ) ভিজিটের পরে একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। এজন্য প্রথমেই “রেজিস্টার একাউন্ট” বাটনে ক্লিক করুন।
এরপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ বসিয়ে দেওয়া ফর্মটি পূরণ করুন।
যদি নতুন নিবন্ধন হয়ে থাকেন এবং আইডি কার্ড হাতে না থাকে বা জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড নাম্বার জানা না থাকে এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) কার্ড নাম্বার এর পরিবর্তে নিবন্ধনের সময় পাওয়া স্লিপ নাম্বারটি ব্যবহার করুন।
মনে রাখবেন ৮ বা ৯ সংখ্যার ভোটার স্লিপ নাম্বারে NIDFN যোগ করা না থাকলে অবশ্যই ভোটার স্লিপের পূর্বে NIDFN যোগ করে নেবেন। উদাহরণ :- ভোটার স্লিপ নাম্বার 234675438 হয়ে থাকে তবে NIDFN যোগ করে নাম্বারটি হবে NIDFN234675438।
তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রদান করে ফর্মটি পূরণ করা শেষ হলে সিকিউরিটি ক্যাপচা সম্পূর্ণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। আগে থেকে একাউন্ট রেজিস্টার করা থাকলে শুধু জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার অথবা একাউন্ট নেইম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
ধাপ ৩ :- ঠিকানা প্রদান
আপনার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রদান করে ফর্ম পূরণ সম্পূর্ণ হলে আপনার বর্তমান এবং অস্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ( NID ) কার্ডে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করুন। ঠিকানায় জেলা, উপজেলা এবং বিভাগ বসাতে হবে। ঠিকানা প্রদান করে ফর্ম পূরণ করা সম্পূর্ণ হলে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন
আপনার সঠিক ঠিকানা প্রদান করার পরেই মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করার প্রয়োজন হবে। মোবাইল নাম্বার দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি সচল নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। পরবর্তীতে এই নাম্বারের সাহায্যে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে।
এক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে ভোটার নিবন্ধনের সময় ব্যবহূত মোবাইল নম্বরটি আসবে। তবে মোবাইল নাম্বার না আসলে নতুন একটি সচল মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে ফর্মটি পূরণ করুন।
মোবাইল নাম্বার বসানো হলে ভেরিফাই করার জন্য বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করলে ব্যবহৃত নাম্বারে বাংলাদেশ এনআইডি সার্ভিস থেকে ছয়টি ডিজিটের একটি ওটিপি কোড পাঠানো হবে। এই OTP ব্যবহার করে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে।
ধাপ ৫ – NID Wallet Application Download
এ পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার NID Wallet নামক একটি এপ্লিকেশন প্রয়োজন হবে
বর্তমানে Android এবং IOS উভয় অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারিই NID Wallet অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারে। Android ব্যবহারকারীরা Google Play Store থেকে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
এবং IOS ব্যবহারকারীরা Apple Store থেকে NID Wallet অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে দিতে পারেন।
Android অপারেটিং সিস্টেমে NID Wallet অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে Play Store ওপেন করে সার্চ বাড়ে “ NID Wallet ” সার্চ করুন। সবার প্রথমে আসা ফলাফলটি ডাউনলোড করে নিন।
একই প্রক্রিয়ায় IOS ব্যবহারকারীরাও NID Wallet অ্যাপ্লিকেশনটি Apple Store থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। অ্যাপলিকেসনটি ডাউনলোড করার পূর্বো অ্যাপটি আসল কিনা তা যাচাই করার জন্য অ্যাপ্লিকেশনটির নামের নিচে Bangladesh Election Commission লেখা দেখুন।
NID Wallet Application সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আরো পড়তে পারেন – NID Wallet কি ও যেভাবে এনআইডি ওয়ালেট ব্যবহার করবেন 2024।
ধাপ ৬ :- QR Code Scan
মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করা সম্পন্ন হলে একটি QR কোড সহ পরবর্তী পেজ আসবে।
NID Wallet এপ্লিকেশটির ফেইস ভেরিফাই করার পূর্বে QR Code স্কান করার প্রয়োজন হবে। QR Code টি প্রথমবার অ্যাকাউন্ট করার সময় সক্রিয় ভাবে তৈরি হয়ে থাকে।
একটি QR Code শুধুমাত্র একবার ব্যবহার করা যায়। যতবার আপনি আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন ততবার সক্রিয়ভাবে নতুন আরেকটি QR Code তৈরি হয়ে যাবে।
QR Code তৈরি হলে অ্যাপ এর মাধ্যমে স্কান করতে হবে।তবে মোবাইল দিয়ে একাউন্ট করলে কোনরকম QR Code তৈরি হবে না। QR Code এর পরিবর্তে একটি লিঙ্ক বা কোড জেনারেট হবে যা ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে।
উক্ত লিঙ্ক বা কোড জেনারেট হলে সেটি কপি করে NID Wallet Application এ নির্দিষ্ট বক্সে পেস্ত করতে হবে। অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা শেষ হলে ফেইস ভে্রিফায় করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
ধাপ ৭ :- Face Verification
QR Code টি স্কান করা সম্পূর্ণ হলে আপনার ফেইস স্কান করে ভেরিফায় করার জন্য মোবাইল ক্যমেরা চালু হয়ে যাবে। এখন এনআইডি কার্ড ধারি ব্যাক্তি ক্যমেরা এর সামনে মুখমণ্ডল ডানে ও বামে নড়াচড়া করে এবং চোখের পলক ফেলে ফেস ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করবে।
ফেস ভেরিফিকেশনের ধাপটি কঠিন মনে হলেও আসলে খুবই সহজ মোবাইলের সামনের অথবা পেছনের ক্যামেরা ব্যবহার করে অল্প সময়ে সহজেই ব্যক্তির ফেইস স্ক্যান করে nidard এর আসল মালিক কে সনাক্ত করা যায়।
ফেস ভেরিফিকেশন সফলভাবে সম্পন্ন হলে সক্রিয়ভাবে সাইটে একাউন্ট লগইন হয়ে যাবে এবং একাউন্ট ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে। অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার পর ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত সকল সেবা ঘরে বসে গ্রহণ করতে পারবেন।
ধাপ ৮ :- পাসওয়ার্ড সেট করা
পাসওয়ার্ড সেট করা এই প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ। এ পর্যায়ে ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হলে আপনার প্রথম ডিভাইসটিতে পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য আরেকটি নতুন পেজ ওপেন হবে। আপনার অ্যাকাউন্ট ও সকল তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য এবং ফেস ভেরিফিকেশন ইত্যাদি সমস্যা এড়ানোর জন্য পাসওয়ার্ড আবশ্যক।
একাউন্টের সুরক্ষা তে একটি কঠিন পাসওয়ার্ড সেট করা উচিত। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। মনে রাখবেন পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে রেজিস্ট্রেশনে সমস্যা হতে পারে।
SMS এর সাহায্যে Smart Card Status Check
অনলাইনের মাধ্যমে Smart Card Status চেক না করতে চাইলে Smart Card চেক করার আরো একটি সহজ ও দ্রুত উপায় হল মোবাইলে SMS এর সাহায্যে Smart Card Status চেক করা। মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে Smart Card চেক করার পদ্ধতি নিম্নে ধাপে ধাপে দেওয়া হল :-
- SMS এর মাধ্যমে Smart Card চেক করার জন্য মোবাইলে মেসেজ অ্যাপ এ যেতে হবে।
- এখান থেকে মেসেজ টাইপ করুন :- SC <space> NID <space> জন্ম তারিখ।
- মেসেজটি 105 নাম্বারে পাঠাতে হবে।
- ফরম নাম্বার বা ভোটার স্লিপ দিয়েও Smart Card Status চেক করা যায়। এজন্য মেসেজ লেখার ফরমেট হল :- SC <space> F <space> ফরম নাম্বার <space> জন্ম তারিখ।
- মেসেজ পাঠানোর পর ফিরতি মেসেজে Smart Card এর বর্তমান অবস্থা জানিয়ে দেওয়া হবে।
ভোটার স্লিপ এর মাধ্যমে Smart Card Check
নতুন ভোটারদেরকে যে ফরম বা স্লিপ দেওয়া হয় সেটি ব্যবহার করেও সহজে অল্প সময়ে অনলাইন এর মাধ্যমে অথবা মোবাইলে SMS এর সাহায্যে Smart Card Status চেক করা যায়। অনলাইনে চেক করার পদ্ধতি এই পোস্টে প্রথমে দেওয়া হয়েছে।
মোবাইলে SMS এর সাহায্যে Smart Card Status চেক করার পদ্ধতি নিম্নে ধাপে ধাপে দেওয়া হল :-
- SMS এর মাধ্যমে Smart Card চেক করার জন্য মোবাইলে মেসেজ অ্যাপ এ যেতে হবে।
- এখান থেকে মেসেজ টাইপ করুন :- SC <space> F <space> ফরম নাম্বার <space> জন্ম তারিখ
- মেসেজটি 105 নাম্বারে পাঠাতে হবে।
- মেসেজ পাঠানোর পর ফিরতি মেসেজে Smart Card এর বর্তমান অবস্থা জানিয়ে দেওয়া হবে।
NID Smart Card Download
Smart Card এ মাইক্রোচিপ সংযুক্ত থাকে। এজন্য আমরা চাইলেও যেকোনো সময় আমাদের স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে অথবা এই চিপ লাগাতে পারবো না। Smart Card নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অনলাইন থেকে Smart Card ডাউনলোড করা সম্ভব নয়। তবে Smart Cardএর নাম্বার সহ জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID ) এর অনলাইন কপি ডাউনলোড করে প্রিন্ট দিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা সম্ভব।
Smart Card হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে বা অন্য কোন সমস্যা হলে Smart Card Re-Issue এর জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে খুবই সহজে Smart Card Re-Issue করার জন্য আবেদন করা যায়। এভাবে না করতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়েও আবেদন করা যেতে পারে।
কিভাবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আরো পড়তে পারেন – How To Download NID Card.
দ্রুত সময়ের মধ্যে যেভাবে স্মার্ট কার্ড পাবেন
বাংলাদেশের যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তারা এখন অনলাইনে সাহায্যে খুবই সহজে নিজেদের Smart NID Cardহাতে পেতে পারেন। আপনার Smart NID Card তৈরি হয়েছে কিনা বা তৈরি হলেও কোথা থেকে সংগ্রহ করতে হবে এরূপ সকল তথ্য এই পোস্টে দেখানো উপায় যথা মোবাইলে SMS এর সাহায্যে বা অনলাইনে চেক করে নিতে পারবেন।
এভাবে আপনি আপনার Smart NID Cardকোথা থেকে সংগ্রহ করতে হবে তা জেনে নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
শেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি, আপনি কিভাবে আপনার Smart NID Card ঘরে বসে অনলাইন এর সাহায্যে অথবা মোবাইলে SMS ব্যবহার করে চেক করতে পারেন। আমরা বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেগুলো আপনাকে সহজেই ঘরে বসে অনলাইন এর সাহায্যে অথবা মোবাইলে SMS ব্যবহার করে চেক করতে সাহায্য করবে।
আপনি যদি Smart NID Card সম্পর্কে আরো পোস্ট পড়তে চান তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন এবং আপনি আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের সাথে কমেন্টে এবং শেয়ার করতে পারেন।
FAQ’s
জি না। স্মার্ট এনআইডি কার্ড এ টাকা রাখা যাই না। কার্ড এ থাকা সিম এর মত চিপটিতে ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
স্মার্ট কার্ড কবে পাবেন তার নির্দিষ্ট কোন সময় বলা যাই না। শহর এ গ্রামের থেকে তূলামূলক কম সময় লাগে। হাতে পেতে ১-২ বছর সময়ও লাগতে পারে।
অনলাইনে Smart Card Status চেক করুণ। যদি স্ট্যাটাস complete দেখাই তবে স্মার্ট কার্ড নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে সংগ্রহ করার জন্য প্রস্তুত।
জি না। স্মার্ট আইডি কার্ড এ চিপ থাকাই আসল কপি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা সম্ভব নই। তবে স্মার্ট কার্ড এর অনলাইন কপি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করা যাই।
NID Wallet অ্যাপটি মূলত ব্যাক্তির ফেইস ভেরিফয়াই করে এবং NID Card এর তথ্য যাচাই করে জাতিীয় পরিচয় পত্র ( NID ) এর আসল মালিককে অ্যাকাউন্ট এ প্রবেশ এর অনুমতি দেই।
জি হ্যা। অ্যাপটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসিয়ালি চালু করেছে।
ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৬।